Positive story | ‘সুযোগ’ কখনো হাত ছাড়া করবেন না | grab opportunity | inspirational Short stories
![]() |
Motivational story - Opportunity |
আজকের গল্প - ‘সুযোগ’।
একবার একটি ছেলে তার গুরুজীর কাছে যায় এবং বলে - গুরুজী আমি খুবই চিন্তায় আছি। আমার অনেক পয়সার দরকার। আমি চাই আমার বাবা মা ভিষন খুশি থাকুক। এবং তাদের যেন আমি বিশ্বভ্রমণ করাতে পারি। কিন্তু আমি যে এই কথা গুলি বলছি এগুলি পয়সা ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয়। এর জন্য আমার কাছে প্রচুর পয়সা থাকা উচিত।গুরুজী তাকে বলে- আমার সাথে চল।
এই বলে গুরূজী তাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেল যেখানে অনেক পাথর পরেছিল। তারপর গুরুজী ছেলেটিকে বলল - এই সবগুলি পাথরের মধ্যে একটি পরশ পাথর আছে। যার ছোঁয়ায় যে কোন ধাতু সোনাতে বদলে যাবে। সেই পাথরটা যেখানেই ছোঁয়াবে সেটা সোনা হয়ে যাবে। আর সেই পাথরটা তুমি চিনতে পারবে তার তাপমাত্রা দেখে।
এইসব বাকি পাথরগুলি যদি ছুঁয়ে দেখ তো দেখবে এগুলি ঠাণ্ডা। কিন্তু সেই ধাতুকে সোনাতে বদলে দেওয়া সেই পরশ পাথর হবে কিছুটা গরম। যদি তুমি ওটা খুঁজে পাও, তোমার জীবন বদলে যাবে। তুমি যতখুশি তত পয়সা রোজগার করতে পারবে।
ছেলেটি ভিষন খুশি হল। যে ভাবল যাক কিছুদিন সময় লাগবে। আর কিছুটা সময় আমাকে এখানে দিতে হবে। কিন্তু সেই ছেলেটি জানতো না গুরুজী যে কাজটা তাকে দিয়েছে সেটা ভেবে চিন্তেই দিয়েছে। যদি কাজটা এতই সোজা হত তাহলে তো আর কোন কথাই ছিল না।
ছেলেটি কাজে লেগে গেল। সে একটি করে পাথর হাতে নিত পরখ করত। যদি দেখত ঠাণ্ডা তাহলে সেটা সে সমুদ্রের জলে ফেলে দিত।
সমুদ্রের জলে ফেলের আরেকটি কারন ছিল। যাতে সেই পাথরটি আবার না এই পাথরগুলির সাথে মিশে যায়। কারন এই সবগুলি পাথর পরখ করতে বেশ কয়েক মাস লাগবে। তার উপরে একই খাটনি যেন বার বার খাটতে না হয়।
একদিন গেল। সে সাত আট ঘন্টা সময় দিল। সে সবপাথর গুলিই ঠাণ্ডা পেল। এই ভাবে এক দিন, দুই দিন, এক সাপ্তাহ , দুই সপ্তাহ তার পর একমাস দুই মাস করে পাঁচ মাস চলে গেল। কিন্তু সেই গরম পরশ পাথরটি সে পেল না। সবকটি পাথরই ঠান্ডা ছিল।
ছেলেটির কাজের গতিও বাড়তে লাগল। কিন্তু তার সাথে তার ভুলও বাড়তে লাগল। তার বিশ্বাস ঠিকই ছিল যে পাথরটা পাওয়া যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সে মনোযোগ দিয়ে পাথর পরখ করার সময় কমিয়ে দিত লাগল। এখন সে এতটা মনোযোগ দিচ্ছে না, যা সে প্রথম তিনটে পাথর কে পরখ কারার জন্য দিয়েছিল। ধীরে ধীরে তার এটা স্বভাব হয়ে গেছিল। যে পাথর ধরেই সে সমুদ্রের জলে ছুড়ে ফেলে দিত।
অবশেষে বহু খাটণি খাটার পর মাস ছয়েক পড়ে সে সেই পাথরটা খুঁজে পেল। আর যখনই সেই পাথরটা তার হাতে এল, সে গরমও অনুভব করল। কিন্তু তার যেহেতু স্বভাব হয়ে গেছিল পাথর ধরেই ছুড়ে ফেলে দেওয়া, সে সেই পাথরটাকেও ছুড়ে ফেলে দিল।
ফেলে দেওয়ার কিছু মুহুর্তের মধ্যেই সে তার হাত কামড়ে ধরল। কারন তার ভীষণ অনুশোচনা হল। কারন সে জানত যে পাথটা সে স্বভাব বশত ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে, সেটা সে আর ফিরে পাবে না।
এই গল্পটা থেকে কি শিখলাম?
তো বন্ধুরা এই গল্পটি থেকে আমরা এটাই শিখলাম যে - যেদিন থেকে আপনি আপনার প্রতিটি দিন সহজ ভাবে নিতে শুরু করবেন, ধীরে ধীরে এই সহজ ভাবে নেওয়াটা আপনার স্বভাব হয়ে যাবে। আর যখনি আপনার কাছে সেই সুযোগের দিনটি আসবে, আপনি স্বভাব বশত সেই দিনটিকেও ভুল করে সহজ ভাবে নিয়ে নেবেন।পরে অনুশোচনা হবে। যখন জানবেন সেই দিনটি আর চারটে দিনের মত স্বভাবিক দিন ছিল না। সেই দিনটি ছিল আপনার সেই পরশ পাথর পাওয়ার দিন। কারন এই পরশ পাথর-ই হল আপনার জীবনের সেই সুযোগ। যা আপনার জবীনকে সোনা দিয়ে মুড়ে দিতে পারে।
সুতরাং আমি বলব ভাল সুযোগ কখোনই হাতছাড়া করবেন না। কারন সুযোগ খুব কষ্ট করে পাওয়া যায়। সুযোগের সৎব্যবহার করুন। মনে রাখবেন জীতবে তারাই যারা কিছু করে দেখাবে।
ইতিবাচক ভাবুন – ইতিবাচক বলুন – ইতিবাচক অনুভব করুন
Positive story | ভাল কাজ করুন, একদিন আপনি রাজা হবেন | inspirational short stories
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
‘Freedoms Today’ নামে আমাদের আরেকটি YouTube channel আছে। যেখানে আমরা Network marketing-এর সম্বন্ধে ভিডিও বানিয়ে থাকি। আপনি যদি Network marketing-এর সম্বন্ধে জানতে চান এবং Network marketing শিখতে চান তো এই channel টি follow করতে পারেন, এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে আপনি আমাদের website visit করতে পারেন।
Freedoms Today Website: http://www.freedomstoday.com/
Freedoms Today YouTube channel: https://www.youtube.com/FreedomsToday
Email: freedomstoday1@gmail.com
0 Comments